
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আজ শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দলটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জাতীয় সমাবেশ। দুপুর ২টা থেকে শুরু হতে যাওয়া এ সমাবেশকে ঘিরে দেশব্যাপী গ্রহণ করা হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
আয়োজকদের দাবি, সমাবেশে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অন্তত ১০ লাখ নেতা-কর্মী ঢাকায় আসছেন। এই বিশাল সমাগমের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে বিশেষ ট্রেন, লঞ্চ এবং ভাড়া করা হয়েছে ১০ হাজারের বেশি বাস।
দলীয় নেতাদের মতে, দেশের প্রতিটি জেলায় চালানো হয়েছে ব্যানার, ফেস্টুন, মাইকিং, মিছিল, পথসভা এবং লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে প্রচারণা কার্যক্রম। এতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
জাতীয় এ সমাবেশের মূল লক্ষ্য সাত দফা দাবির পক্ষে জনমত গড়ে তোলা। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন। সংবাদ সম্মেলনে দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত সব রাজনৈতিক দলকে সমাবেশে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়েছে।
নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকছে প্রায় ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। উত্তরবঙ্গ থেকে আসছে দেড় হাজারের বেশি বাস, এছাড়া চট্টগ্রাম ও রাজশাহী রুটে চলবে বিশেষ ট্রেন, নদীপথে রিজার্ভ লঞ্চও রাখা হয়েছে প্রস্তুত।
সমাবেশস্থলে থাকবে ১৫টি মেডিক্যাল বুথ, যেখানে নিয়োজিত থাকবেন এমবিবিএস চিকিৎসক, সঙ্গে থাকবে অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা। পাশাপাশি থাকবে বিশ্রামাগার, গ্রিনরুম, পানির ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর এবং বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা।
যদিও মূল কার্যক্রম শুরু হবে দুপুর ২টায়, তবে সকাল ১০টার আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসমুদ্রে পরিণত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সকাল থেকেই শুরু হবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীসহ অন্তত ২০টি সাংস্কৃতিক সংগঠন পরিবেশন করবে সংগীত, নাটিকা, আবৃত্তি ও অন্যান্য পরিবেশনা।
আপনার মতামত লিখুন :