• ঢাকা
  • | বঙ্গাব্দ
Techogram

যশোরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার দায়ে ঘাতক জহিরুলের মৃত্যুদণ্ড


FavIcon
শাহরিয়ার সীমান্ত
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Oct 7, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ad728

নিজস্ব প্রতিবেদক:  অভয়নগরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে ঘাতক জহিরুল ইসলাম বাবুর মৃতুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে যশোরের একটি আদালত। একই সাথে বাবুকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয় হয়েছে। 

সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৮ম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জাকির হোসেন টিপু এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত জহিরুল ইসলাম বাবু যশোর সদরের জগন্নাথপুর গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার মশিউর রহমান বিশ্বাসের ছেলে।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জহিরুল ইসলাম বাবু পেশায় একজন রড মিস্ত্রী ও মাদকাশক্ত। সে অভয়নগরের সিদ্দিপাশা গ্রামের শেখ মুজিবর রহমানের মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন বিথীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে বিথীর সাথে পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহ চলছিল। বিথী তার পিতার বাড়িতে থাকতে পছন্দ করত। আড়াই মাস আগে বিথী তার দুই মেয়ে সুমাইয়া ও সাফিয়াকে নিয়ে পিতার বাড়ি চলে যায়। অনিচ্ছা সত্তেও জহিরুল মাঝে মধ্যে তার শ্বশুর বাড়ি যেয়ে থাকতে হতো। এনিয়ে তাদের সংসারে চরম অশান্তি চলছিল। ২০২২ সালের ১৫ জুন দুপুরে স্ত্রী ও দুই মেয়ে জহিরুল তার বাড়ির উদ্দ্যেশে শ্বশুর বাড়ি থেকে রওনা হয়। পথে বিথীর সাথে জহিরুলের পারিবারিক বিষয়টি বাকবিতন্ডা হয়। এরমথ্যে স্ত্রী ও বড় মেয়ের গলা চেপে ধরলে ছোট মেয়ে চিৎকার করছিল। এরপর তিনজনের গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে কলা বাগানে লশ ফেলে পালিয়ে যায় বাবু। এসময় নিহত বিথীর বড়ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ বাড়িতে গেলে বাবু পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।

এ ঘটনায় নিহত বিথীর পিতা শেখ মুজিবর রহমান বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই উত্তম কুমার মন্ডল মামলার তদন্ত শেষে বাবুকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। 

দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি জহিরুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা এবং ২০১ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আরও ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও আরও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত জহিরুল ইসলাম বাবু কারাগারে আটক আছে।