আগামী ফেব্রুয়ারির তে হতে যাওয়া ভোটের লড়াইয়ে ঢাকা ১৫ আসনে জামায়াতের আমির, ডা. শফিকুর রহমানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শফিক।

শফিকুল মিল্টন ঢাকা মহানগরের যুবদল নেতা। তিনি কিছুদিন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

সোমবার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ধানের শীষের ২৩৭ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় ঢাকা-১৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় যুবদল নেতা শফিকুলের; যেখানে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে লড়বেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিএনপি ও জামায়াত এখন আগামী নির্বাচন মাথায় রেখে একে অপরের বিরোধী রাজনীতি করছে। তাতে এ আসনে জ্যেষ্ঠ একজন রাজনীতিবিদের সঙ্গে লড়াইয়ে তরুণ এক নেতাকে বেছে নিল বিএনপি।

একদিন আগেই রোববার জামায়াতে ইসলামীর আমির পুর্ননির্বাচিত হয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান। তিনি আগামী তিন বছর এ দায়িত্ব পালন করবেন।

মৌলভীবাজারে জন্মগ্রহণকারী শফিকুর রহমানের রাজনীতিতে হাতেখড়ি স্কুল জীবনে। ১৯৭৩ সালে নাম লেখান জাসদ ছাত্রলীগে। এরপর ১৯৭৭ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরে। এই সংগঠনের সিলেট মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি এবং সিলেট শহর শাখার সভাপতির দয়িত্ব পালন শেষে ১৯৮৪ সালে যোগ দেন মূল দল জামায়াতে ইসলামীতে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন,দিনে দিনে জামায়াতের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ আসনে ভালো প্রতিযোগিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

এলাকাবাসী বলছেন, পতিত স্বৈরাচারের আমলে এ আসনে এমপি ছিলেন কামাল আহমেদ মজুমদার। যার দখল বাজি, চাদাবাজিতে অতিষ্ঠ ছিলো এ এলাকার লোকজন। তার উপর কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা। তাই ভোটারদের প্রত্যাশা, সৎ ও উন্নয়নে যিনি কাজ করবেন ভোটাররা তাকেই মনোনীত করবে।