যশোরের অভয়নগরে মরিয়ম খাতুন (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রীর গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুঁলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রেমঘটিত অভিমানের জেরে বুধবার (৫ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের হিদিয়া গ্রাম এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।

নিহত মরিয়ম খাতুন হিদিয়া গ্রামের মোশারেফ মোল্যার মেয়ে। তিনি স্থানীয় পল্লীমঙ্গল আদর্শ ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মরিয়মের সঙ্গে পাশের গ্রামের আব্দুর রহমান নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রায় এক মাস পূর্বে আব্দুর রহমানের সঙ্গে মরিয়মের বিয়ের বিষয় নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে বৈঠক হয়। এ সময় মরিয়মের বাবা-মা বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হলে পারিবারিক বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে মরিয়মের সঙ্গে তার বাবা-মায়ের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এক পর্যায়ে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে না সেই কষ্টে মেয়েটি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।   

নিহতের পিতা মোশারেফ মোল্যা বলেন, ‘আব্দুর রহমান নামে এক ছেলের সঙ্গে মরিয়মের নিয়মিত কথা হত। শুনেছি বুধবার রাতে তাদের মধ্যে ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিয়ে রাত ১০ টার দিকে মেয়েকে ডাকাডাকি করলে সে সাড়া দিচ্ছিল না। পরে মেঝো মেয়ে সুমিকে পাঠালে সে জানালা দিয়ে দেখে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে মরিয়ম ঝুলে রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বাঁশুয়াড়ি ক্যাম্পে নিয়ে যায়।’

তিনি আরো বলেন, আমি কাউকে দায়ী করছি না। আমি শুধু আমার মেয়ের লাশটি ভালোভাবে দাফন করতে চাই।’ এ ব্যাপারে প্রেমিক আব্দুর রহমানের সঙ্গে বার বার চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।  

বাঁশুয়াড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই রাইসুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মরিয়মের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মরদেহটি অভয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’ 

এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম রবিউল ইসলাম বলেন, ‘কলেজছাত্রী মরিয়মের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’