৫ দিন অতিবাহিত হলেও বেনাপোলের গরু ব্যবসায়ি কসাই মিজান হত্যাকান্ডর রহস্য উন্মোচন হয়নি
সাইফুল্লাহ খালিদ
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Sep 4, 2025 ইং
বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোলে জবাই করে গরু ব্যবসায়ি কসাই মিজানকে
হত্যা করার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও কে বা কারা হত্যা করেছে তার রহস্য উন্মোচন
হয়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী বাড়িতে কেউ প্রবেশ করেছে নাই দেখা
গেলেও গভীর রাত্রে মিজান হত্যাকান্ড কি ভাবে হলো তা নিয়ে নানা আলোচনা
সমালোচনার ঝড় বইছে। রহস্যজনক এ হত্যা কান্ডে তার নিজ স্ত্রী জড়িত থাকার ও
অনেকে অভিযোগের তীর ছুড়ছে। তবে পোষ্ট মর্টেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আগাম
কোন কিছু মন্তব্য করা যাবে না বলে পুলিশ মন্তব্য করে।
স্থানীয়রা
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টিত বাড়ি মিজানুর
রহমানের। এ বাড়িতে ওই দিন সে ছাড়া অন্য কেউ রাত্রে প্রবেশ করে নাই। এরপর
গভীর রাত্রে যে কোন সময় তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে যা সিসি ক্যামেরার
আওতাভুক্ত নয়। হত্যাকান্ডের সময় মিজান কোন চিৎকারও করে নাই। তারা মন্তব্য
করছে যে তাকে হত্যা করার আগে চেতনানাশক কোন ওষুধ দিয়ে আগে অজ্ঞান করে পরে
জবাই করা হয়ে থাকতে পারে।
মিজানুর
রহমান এর স্ত্রী ফিরোজা খাতুন জানায়, ঘটনার দিন রাত্রে মিজানুর রহমান রাত
আনুমানিক ১১ টার দিকে বাসায় প্রবেশ করে গেটের ও ঘরের গেটের তালা লাগিয়ে
দেয়। এরপর সে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমাতে যায়। কিন্তু রাত্রে সে কখন কোন সময়
উঠে গেছে আমি বলতে পারব না। ভ্যান ওয়ালার ডাকাডাকিতে ঘুম থেকে উঠে বাইরে
গিয়ে দেখি ঘরের গেটের তিন গজ সামনে সে পড়ে রয়েছে। তারপর তাকে রক্তাক্ত
অবস্থায় দেখে চিৎকার করলে লোকজন আসে। সে কেন হত্যা হয়েছে বা করা করেছে এমন
কোন রহস্য আপনারা পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে বুঝতে পারিনি।
এখন মনে হচ্ছে তার নিকট লোকে টাকা পাবে। তারা এ ঘটনা ঘটাইয়াছে কি না তাও
সন্দেহ হচ্ছে। কারা টাকা পাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি জানি না।লোক মুখে
শুনছি টাকা পাবে। তবে ঘটনার দিন একটা লোক তাদের বাড়িতে টাকা চাইতে এসেছিল।
আমি মিজান রাত্রে বাড়িতে ফিরলে বলি একটা লোক ৮০ হাজার টাকা পাবে সে চাইতে
এসেছিল। মিজান টাকার কথা শিকার করে এবং বলে ওনাকে শনিবার টাকা দিয়ে দিব।
এছাড়া আর কারো নাম আপাতত বলতে পারব না। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
মিজান
এর কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ফাতেমা বেগম বলেন, আমাদের সংসারে কোন ঝামেলা নেই। আমার
বাবার কারো সাথে শত্রুতাও নেই। কে তাকে হত্যা করেছে আমরা এর বিচার চাই।
আমার বাবাকে কারা হত্যা করল আপনারা বের করেন।
রহস্যজনক
এ হত্যাকান্ডের তথ্য উদাঘাটনে মিজান এর বাড়ি গেলে, কিছু সময় পর বেনাপোল
পোর্ট থানার উপ-পরিদর্শক মিলন হোসেন ও মানিক মিয়া ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়।
এসময় মিজান এর ছেলে মুরসালিন ওই দিন রাত ১২ টা পর্যন্ত তার বন্ধুদের সাথে
মোবাইলে গেম খেলেছে সে বিষয় জিজ্ঞাসা করলে মুরসালিন শিকার করে। এবং কার
সাথে খেলেছে নাম বললে পুলিশ রহস্য উদঘাটন করতে আরো কিছু জিজ্ঞাসা করে বের
হয়ে মুরসালিন এর বন্ধুকে খুজতে যায়।
বেনাপোল
পোর্ট থানার এস আই রাশেদ আলি বলেন, মেডিকেল রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা
যাবে না সে কি ভাবে হত্যা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট আসলে আমরা আরো অগ্রসর হতে
পারব। তবে তথ্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :