যশোরে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে অপহরণের শিকার শালিয়াট গ্রামের যুবক নাইম হোসেন আজও উদ্ধার হয়নি। নাইমকে ফিরে পেতে পরিবারের ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে একটি চক্র। এ ঘটনায় প্রেমিকার পিতাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও চাঁদাদাবির অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। অপহৃত নাইমের শরিফা খাতুন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে। 

আসামিরা হলো, সদরের চাঁদপাড়া গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে আসাদুজ্জামান, মৃত গোলাম রব্বানীর ছেলে আরিফুজ্জামান, শফিয়ার রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান, রফিকুল ইসলামের ছেলে আক্তারুজ্জামান, মশিয়ারের ছেলে রিয়া ও মৃত নিছার আলীর ছেলে এনামুল হক।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ২০ অক্টোরব সকারে নাইম হোসেন চাঁদপাড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজখুজি করে তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ২৩ অক্টোবর কোতয়ালি থানায় জিডি করে স্বজনেরা। 

পরে সাক্ষীদের মাধ্যমে স্বজনেরা জানতে পারে, আসামি আসাদুজ্জামানের মেয়ে মায়শা আইরিনের সাথে নাইম ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২০ অক্টোবর নাইম দেখা করতে গিয়েছিল মায়শার সাথে। বিষয়টি মায়শার পরিবার জানতে পেরে আসামি আসাদুজ্জামান অপর আসামিদের সহযোগীতায় নাইন হোসেনকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রেখেছে। ২৪ অক্টোবর বেলা ১১ টায় আসামি আসাদুজ্জামানের বাড়িতে গেলে, ছেলের প্রেম করার সাধ মিটিয়ে দেবে বলে জানায়, গালিগালাজ ও ও খুন-জখমের হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে ছেলেকে ফিরে পেতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দিলে ছেলেকে হত্যা করে গুম করবে বলে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। ছেলে নাইমকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।