বেনাপোলের যুবদল নেতা খালেক হত্যার ১৩ বছর পর পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৩জনকে আসামি করে আদালতে মামলা
শাহরিয়ার সীমান্ত
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Sep 27, 2025 ইং
নিজস্ব প্রতিবেদক : বেনাপোলের পুটখালী ইউনিয়ন যুবদলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক হত্যার ঘটনায় ১৩ বছর পর পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার নিহতের ছেলে আহসান হাবীব এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবা শারমিন এ ঘটনায় পুলিশের করা মামলার নথি ও সিডি তলব করে আগামী ২০ নভেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
আসামিরা হলো, বেনাপোল পোর্ট থানার তৎকালিন ওসি (তদন্ত) সৈয়দ লুৎফর রহমান, বেনাপোল পোর্ট থানার তৎকালিন এসআই আবুল কালাম আজাদ, তৎকালিন এসআই শিকদার মতিয়ার রহমান, ডিবির তৎকালীন এসআই আবুল খায়ের মোল্লা, বেনাপোলের নারানপুর গ্রামের সহিদুলের দুই ছেলে রেজাউল ইসলাম রেজা ও আজিজুল ইসলাম, আকবর সর্দারের ছেলে শাহাদৎ হোসেন, মোতালেব সর্দারের ছেলে কামাল হোসেন, আব্দল মজিদের ছেলে তারিকুল ইসলাম, আবদুর ওয়াজেদ ওরফে মান্দারের ছেলে আব্দুর রব, নারায়নপুর গ্রামের মৃত জব্বার আলী মুন্সির ছেলে ইয়াকুব আলী, পুটখালী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে জিয়াউর রহমান ও মোতালেব সর্দারের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৩ জানুয়ারি দুপুরে পুটখালি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক তার ছেলে মুন্নাকে বেনাপোল হাইস্কুলে ভর্তি করাতে যান। ভর্তি শেষে ছেলেকে কাছের একটি দোকানে বসিয়ে তিনি যশোর-বেনাপোল রোডের দিঘীরপাড় এলাকায় শাহজালাল ফিলিং স্টেশনে মোটরসাইকেলে তেল আনতে যান। এ সময় আসামি রেজাউল, আজিজুল, ইয়াকুব ও জিয়াউর রহমান তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। একটি গুলি খালেকের ডান কান ভেদ করে বাম কান দিয়ে বেরিয়ে যায়। ঘটনার সময় অপরআসামিরাসহ এসআই আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সিভিলে পাম্পের পাশে উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থানায় মামলা করতে গেলে বিএনপি করায় মামলা গ্রহন করেনি পুলিশ। ফলে আসামিদের হুমকিতে নিহতের পরবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৭ জানুয়ারি পোর্ট থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
এসআই শিকদার মতিয়ার রহমান ও জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই আবুল খায়ের মোল্লা মামলার তদন্ত শেষে আসামিদের রক্ষা করতে ওসি তদন্তের পরামর্শে ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। ফলে এ হত্যার আসামিরা সকলেই মুক্তি পেয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর পরিবেশ অনুকুলে আসায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :