
যশোর শহরের ষষ্ঠীতলা এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আশরাফুল ইসলাম বিপুল (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি শহরতলীর শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে এবং একটি বেসরকারি কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের পরিবার দাবি করেছে, অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের পিতা আক্তার হোসেন জানান, প্রায় ছয় মাস আগে বিপুল ষষ্ঠীতলা এলাকার সুমাইয়া নামে এক তরুণীকে বিয়ে করেন। বিয়ের আগে সুমাইয়ার প্রথম স্বামী ছিলেন একই এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে বাপ্পি। বিপুলের সঙ্গে সুমাইয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর তারা বিয়ে করে ঢাকায় চলে যান। এরপর থেকেই বাপ্পি বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ করেন আক্তার হোসেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর ষষ্ঠীতলার মোস্তাকের বাড়ির পাশে বিপুলকে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করা হয়। এ সময় একটি বোমা বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাহমুদুল হাসান তুষার জানান, রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে বিপুলকে হাসপাতালে আনা হয়। তার বুক, পেট, গলা, হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের অসংখ্য আঘাত ছিল। রাত ৯টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় বাপ্পি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, নিহত বিপুলের বিরুদ্ধে একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল এবং তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। অন্যের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এলাকায় একাধিকবার শালিস-বিচার হয়। সুমাইয়ার শিশু সন্তান থাকায় তাকে আগের স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চাপও ছিল। স্থানীয়দের ধারণা, এসব কারণেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে
আপনার মতামত লিখুন :