নিজস্ব প্রতিবেদক : ভ্রুন হত্যার অভিযোগে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল সদরের গোয়ালদহ গ্রামের মুনসুর মৌলভীর মেয়ে ছায়রা বেগম বাদী হয়ে এই মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। 

আসামিরা হলো, ঝিকরগাছা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের তবিবর রহমান, তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও ছেলে রনি হোসেন। 

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর আসামি রনি হোসেনের সাথে পারিবারিক ভাবে  সুমাইয়া খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সুমাইয়া সেখানে সংসার করতে থাকেন। সুমাইয়া খাতুন অন্তঃসত্বা হয়। অন্তঃসত্বার বিষয়টি জানজানির পর স্বামী রনিসহ পরিবারের সদস্যরা গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য সুমাইয়াকে চাপ দিতে থাকে। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সুমায়ার উপর শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন শুরু হয়। দাবি করা হয় ২ লাখ টাকা যৌতুক। গত ১৫ জুলাই সকালে সুমাইয়ার স্বামী রনি, তার শাশুড়ি ও শ্বশুর মারপিট করে আহত করে।  সংবাদ পেয়ে সুমাইয়ার নানী রনিদের বাড়িতে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে পরীক্ষা করে গর্ভের সন্তানটি গর্ভপাত হয়েছে বলে ডাক্তার জানান। এরপর থেকে তার স্বামী বা স্বামীর পরিবার আর সুমাইয়ার কোন খোঁজখবর নেননি। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তা গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।