মিছিলের আগে যশোর ঈদগাহ মোড়ে জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে অধ্যাপক গোলাম রসুল তার বক্তব্যে 'জুলাই সনদ' নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, এই সনদ যাতে বাস্তবায়ন না হয়, সে জন্য প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের পরামর্শে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের আয়োজন করার উদ্যোগ নিচ্ছেন।

অধ্যাপক রসুল এই পদক্ষেপকে 'সম্পূর্ণ অন্যায় ও জাতির সাথে প্রতারনার শামিল' বলে অভিহিত করেন। তিনি অবিলম্বে সকল প্রকার ষড়যন্ত্র ও 'তামাশা' বন্ধ করার দাবি জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে জামায়াতের পক্ষ থেকে মূল দাবিটি উত্থাপন করে বলা হয়, "জুলাই সনদকে আইনী ভিত্তি দেওয়ার জন্য জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে অবশ্যই গণভোটের আয়োজন করতে হবে।"

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আবু জাফর সিদ্দীকী, সহকারী সেক্রেটারি গোলাম কুদ্দুস, মাওঃ রেজাউল করিম, প্রচার সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহাবুদ্দীন বিশ্বাস, অফিস সেক্রেটারি নূর-ই-আলা নূর মামুন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও যশোর-৫ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এ্যাড. গাজী এনামুল হক, শহর আমীর অধ্যাপক শামসুজ্জামান, মনিরামপুর উপজেলা আমীর অধ্যাপক ফজলুল হক, চৌগাছা উপজেলা আমীর মাওঃ গোলাম মোরশেদ এবং যশোর-৩ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ভিপি আব্দুল কাদের। বক্তারা অবিলম্বে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।