• ঢাকা
  • | বঙ্গাব্দ
Techogram

কেশবপুরে প্রথম সৌদি খেজুর উৎপাদনে নারী উদ্যোক্তার সফলতা


FavIcon
Rifat Ahamed Hemel
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jul 14, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ad728

কেশবপুর প্রতিনিধি  : সফল নারী উদ্যোক্তা নুসরাত জাহান লিজার বাড়ির আঙ্গিনায় উৎপাদিত সৌদি আরবের খেজুর গাছে লাল টসটসে খেজুর ঝুলছে। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে ছয় বছর আগে বাড়ির আঙ্গিনার সারি সারি খেঁজুর গাছ রোপণ করেন এ সংগ্রামী নারী উদ্যোক্তা। তাঁর আঙ্গিনায় রয়েছে ৩৫ থেকে ৪০টি সৌদি আরবের সুমিষ্ট খেজুর গাছ। এবারই প্রথম বাগানের কয়েকটি খেজুর গাছে এসেছে ফলন। গাছের লাল টসটসে খেজুর দেখার জন্য প্রতিদিন ওই বাড়িতে ভিড় করছে মানুষ। লিজার এ সাফল্যের কথা জানতে পেরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বললেন, এ অঞ্চলে প্রথম সৌদি খেজুর উৎপাদন করে সফলতা পেয়েছেন তিনি। যা দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।
নারী উদ্যোক্তা নুসরাত জাহান লিজার বাড়ি যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী। লিজা এবার বিএ পরীক্ষার্থী। লেখাপড়া ও সংসার সামলিয়ে তিনি নিজেকে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সৌদি আরবের খেজুর চাষে ঝুঁকেছেন। সরেজমিন ওই বাড়িতে গেলে দেখা যায়, বাড়ির আঙিনার সামনে সারি সারি রয়েছে ৩৫ থেকে ৪০টি সৌদি আরবের খেজুর গাছ। এসব গাছের ভেতর এবারই প্রথম তিনটি গাছে ফলন এসেছে। বাড়ির সামনে লাগানো প্রথম গাছটিতে চার কাঁদি খেজুর ধরেছে। এক এক কাঁদিতে ১০ থেকে ১২ কেজি খেজুর রয়েছে। যা ইতিমধ্যে লাল বর্ণ ধারণ করেছে।
খেজুর গাছ পরিচর্যার সময় নুসরাত জাহান লিজা বলেন, ছয় বছর আগে সৌদি আরব থেকে তাদের এক আত্মীয় হজ্জ্ব শেষে বাড়ি ফেরার সময় ওই দেশের খেজুর নিয়ে আসেন। তাদেরকে ওই সৌদি আরবের খেজুর খেতে দিলে তার বীজ সংরক্ষণ করেন। পরে ওই খেজুরের বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে বাড়ির আঙ্গিনার সামনে লাগানো হয়। বর্তমানে তিনটি গাছে ফলন এসেছে। এ ছাড়া অধিকাংশ গাছের গোড়া থেকে একাধিক চারা (বোগ) বের হয়েছে। এ সমস্ত গাছের গোড়ায় ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) ব্যবহার করা হয়। কাঁদির এসব খেঁজুর আগামী এক দেড় মাসের ভেতর পেকে যাবে। পাঁকলে এসব খেজুর প্রতি কেজি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি করা যাবে। প্রথমবারেই ওই তিনটি গাছ থেকে উৎপাদিত খেজুর এক লাখ টাকার বেশি বিক্রি করার আশা করছেন তিনি।
ওই বাড়িতে সৌদি খেজুর দেখতে আসা মঙ্গলকোট গ্রামের নওশের আলী শেখ বলেন, এ অঞ্চলের মাটিতে সৌদি আরবের খেজুর উৎপাদনের কথা শুনে দেখতে এসেছি। গাছের লাল টস টসে খেজুর দেখে আমি অভিভূত।
খেজুর বাগান পরিদর্শনে আসা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কিশোর কুমার দাস বলেন, এ উপজেলায় প্রথম সৌদি আরবের খেজুর গাছ লাগিয়ে সফল হয়েছেন নারী উদ্যোক্তা নুসরাত জাহান লিজা। খেজুর গাছে বড় বড় কাঁদিতে শত শত খেজুর দেখে অন্যরাও এ চাষে আগ্রহী হবে বলে তিনি আশা করছেন। কৃষি অফিস থেকে সৌদি খেজুর চাষীদেরকে পরামর্শ প্রদান অব্যাহত থাকবে।