
স্বপ্নভূমি ডেস্ক : কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দিনটি উপলক্ষে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে তাঁর কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রংপুরের জেলা প্রশাসকসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
বুধবার সকাল থেকে বাবনপুর গ্রামে সাধারণ মানুষের ঢল নামে। কবর জিয়ারতে অংশ নেন বেরোবির উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী, রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা বেগম, পীরগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আবু সাঈদের কবরটি লোহার গ্রিল দিয়ে ঘেরা হয়েছে। কবরস্থানের পাশে ‘শহীদ আবু সাঈদ ফাউন্ডেশন’-এর পক্ষ থেকে তাঁর স্মৃতিতে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের আলোকচিত্র প্রদর্শনীও আয়োজন করা হয়। পুরো গ্রামজুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে যায় স্মরণ আয়োজনে।
এ সময় বেরোবির উপাচার্য ড. শওকাত আলী বলেন, “আবু সাঈদ যে প্রতিবাদী ভূমিকা রেখে গেছেন, তা দেশের ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকযাত্রা, আলোচনা সভা, ‘আবু সাঈদ তোরণ’ ও ‘আবু সাঈদ মিউজিয়াম’ উদ্বোধনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।”
রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন, “আবু সাঈদের আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল স্মরণ রাখবে। তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের সবাইকে সৎভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন বলেন, “এক বছর হয়ে গেল আমার ছেলে মারা গেছে। ছেলেসহ যাদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের বিচার চাই। সেই বিচার না করে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নেও সরকারের অগ্রাধিকার প্রয়োজন।”
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আবু সাঈদ। তাঁর মৃত্যুর পর দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নতুন মাত্রা পায় এবং তা রাজনৈতিক অঙ্গনেও দাগ কেটে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :