যশোর শহরতীর চাঁচড়া এলাকার মামলাবাজ আসমা নামের এক নারীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন গ্রামবাসী। তিনি যার-তার নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। মঙ্গলবার দুপুরে কোতোয়ালি থানার সামনে হাজির হয়ে ভুক্তভোগীরা এর প্রতিকার চান থানা কৃতপক্ষের কাছে।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কাজী বাবুল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুই পক্ষকেই ডাকা হয়েছিলো। তাদের এ বিষয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চাঁচড়ার মল্লিকপাড়ার রেজাউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, একই গ্রামের গোলাম মোস্তফার স্ত্রী আছমা আক্তারের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মামলাবাজ আসমা গ্রামের মিন্টু, আরমান মল্লিক, রেখা বেগম, ইসরাফিল মল্লিক, নার্গিস বেগম, জান্নাতুল, ইয়াসিন, তানিয়া খাতুনসহ একাধিক ব্যক্তির নামে কখনো ডাকাতি, শ্লীলতাহানি, চুরি, আবার কখনো মারপিটের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা বা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এরমধ্যে আদালতে করা ডাকাতি ও হত্যা চেষ্টার মামলা তদন্ত করে এর সত্যতা পায়নি পিবিআই। এছাড়া আদালত আরও দুটি মামলা খারিজ করেছে। তবুও তিনি নানা অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিচ্ছেন গ্রামের মানুষের বিরুদ্ধে। 

স¤প্রতি একটি স্ট্যাম্পে রেজাউলের জাল স্বাক্ষর করে আট লাখ টাকা দাবি করে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছেন। মঙ্গলবার ওই অভিযোগে থানায় ডেকেছিল আমাদের। বর্তমানে তিনি ধর্ষণ মামলা করার হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন রেজাউল।

এদিকে সাংবাদিকদের পাল্টা অভিযোগ করেন আসমা আক্তার। তিনি বলেন, রেজাউলসহ অন্যরা তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে স্বর্ণসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। আট লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। ওই টাকা ফেরত চাওয়ায় এখন আমার বিরুদ্ধে এ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।