• ঢাকা
  • | বঙ্গাব্দ
Techogram

আজ কেশবপুর হানাদার মুক্ত দিবস, প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন আব্দুল হামিদ


FavIcon
Swapnobhumi
নিউজ প্রকাশের তারিখ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৯
ছবির ক্যাপশন: ad728

কামরুজ্জামান রাজু, কেশবপুর :

আজ (৭ ডিসেম্বর) কেশবপুর হানাদার মুক্ত দিবস। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ গাজী এদিন কেশবপুর থানা প্রাঙ্গণ থেকে পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ গাজী, চিন্ময় মিত্র, আব্দুল ফকিরসহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা রাইফেলের নলে লাল সবুজের পতাকা বেঁধে কেশবপুরে প্রবেশ করেন। ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের আগমনের খবর পেয়ে এদিন ভোরে কেশবপুর শহরের বালিকা বিদ্যালয়ে অবস্থানরত রাজাকার ও পাকিস্তান সেনাবাহিনী ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে যায়। বীর মুক্তিযোদ্ধারা শ্লোগান দিয়ে কেশবপুর থানায় প্রবেশ করেন। এ সময় থানার পতাকা স্ট্যান্ড থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ গাজী পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে ওই পতাকা স্ট্যান্ডে বাংলাদেশের ম্যাপ সমৃদ্ধ লাল সবুজের পতাকা প্রথম উত্তোলন করেন। এ সময় কেশবপুর হানাদার মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এ দিন কেশবপুরের প্রবেশ পথে ত্রিমোহিনী সড়কের ভোগতী কালারবাসা মোড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভ্যর্থনা জানান ডাক্তার রওশন আলী, ডাক্তার গোলাম রব্বানি, আনোয়ার হোসেন বিশ্বাস প্রমুখ।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অনেকেই এদিন কেশবপুরে ফিরে এলেও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের আব্দুল খালেক ও মধ্যকুল গ্রামের দৌলত বিশ্বাসকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাধ্যমে জানা যায়, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার উজুলপুর গ্রামে আব্দুল খালেক ও মণিরামপুরের চন্ডিপুর গ্রামে দৌলত বিশ্বাস পাকসেনাদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন। ১৯৯৬ সালে কেশবপুরের সাবেক এমএনএ সুবোধমিত্রের নেতৃত্বে চন্ডিপুর গ্রামের মাঠে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা দৌলত বিশ্বাসের কবর শনাক্ত করা হয়। এ ছাড়া ঝিকরগাছার উজুলপুর গ্রামে আব্দুল খালেকের কবর রয়েছে।