গাজায় ১১ জাহাজের মানবিক বহর: ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে বদ্ধপরিকর ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন
শাহরিয়ার সীমান্ত
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Oct 6, 2025 ইং
স্বপ্নভূমি ডেস্ক : ফিলিস্তিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর জোট ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ফের ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (তারিখ উল্লেখ নেই) এক বিবৃতিতে এফএফসি জানিয়েছে, আগস্টের ব্যর্থ মিশনের পরও মানবিক সহায়তা নিয়ে তারা নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে।
নতুন ত্রাণ মিশনের বিস্তারিত
নতুন এই বহরে মোট ১১টি নৌযান রয়েছে, যাতে প্রায় ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবী ও ক্রু অংশ নিচ্ছেন। দুটি ধাপে নৌযানগুলো গাজার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে:
প্রথম ধাপে, ২৫ সেপ্টেম্বর ইতালি ও ফ্রান্সের পতাকাবাহী দু’টি নৌযান ইতালির ওৎরান্তো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে।
দ্বিতীয় ধাপে, ৩০ সেপ্টেম্বর আরও ৯টি নৌযান তাদের অনুসরণ করে রওনা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিগগিরই এই নৌযানগুলো একত্রিত হবে এবং ঐক্যবদ্ধ বহর হিসেবে গাজার দিকে এগিয়ে যাবে।
আগস্টের ব্যর্থতা এবং আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের অংশগ্রহণ
এর আগে, এফএফসি জোট আগস্ট মাসে 'গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা' নামে একটি বিশাল ত্রাণ মিশন শুরু করেছিল। সেই বহরে খাদ্য ও ওষুধবাহী ৪৩টি নৌযান ছিল। এই মিশনে বিশ্বের ৪৪টি দেশের ৫০০ জন নাগরিক অংশ নেন, যাঁদের মধ্যে ছিলেন—
সুইডেনের আন্তর্জাতিক পরিবেশ আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি ও রাজনীতিবিদ মান্ডলা ম্যান্ডেলা।
এছাড়াও ছিলেন পার্লামেন্টারিয়ান, আইনজীবী, রাজনৈতিক আন্দোলনকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা।
গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বন্দর থেকে যাত্রা শুরু হলেও, গাজার জলসীমার কাছাকাছি পৌঁছানোর পরপরই ইসরায়েলের নৌবাহিনী একটি ছাড়া সবকটি নৌযান আটক করে এবং ক্রু ও আরোহীদের ইসরায়েলি বন্দরে নিয়ে যায়। এই ঘটনা বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের জন্ম দিলেও, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা সেই বিক্ষোভকে গুরুত্ব দেয়নি।
এফএফসি'র পরিচয়
২০০৮ সালে গঠিত এফএফসি হলো মূলত চারটি সংগঠনের জোট: ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লেবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা এবং সুমুদ নুসানতারা। গত ১৭ বছরে এই জোটটি একাধিকবার গাজায় সফলভাবে ত্রাণ পাঠিয়েছে। আগস্টের ব্যর্থতার পরও তারা নতুন করে এই উদ্যোগ নিলো।
আপনার মতামত লিখুন :