বেনাপোলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন
শাহরিয়ার সীমান্ত
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Sep 30, 2025 ইং
বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের বেনাপোলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন (৯০)। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার সময় বেনাপোল রেলস্টেশন প্রাঙ্গণে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডাঃ কাজী নাজিব হাসান ও বেনাপোল পোর্ট থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মানিক কুমার সাহার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মরহুমকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে বেনাপোল রেলস্টেশন জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন স্থানীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি সাইদ আহম্মেদ। জানাজা শেষে তাঁর ইচ্ছানুযায়ী বেনাপোল পৌরসভার ভবেরবেড় গ্রামের গণকবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে শার্শার উলাশী ইউনিয়নে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আবুল হোসেন মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি বেনাপোলের ভবেরবেড় গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সন্তান উসমানের বাড়িতে ভাড়াটিয়া ছিলেন। মরহুমের ইচ্ছানুযায়ী তাঁর মরদেহ উলাশী থেকে বেনাপোলে আনা হয়। শনিবার দিনের শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদানের সুযোগ না থাকায় রবিবার সকালে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনছার মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ শেখ শহিদুল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াদুদ নবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান বাবলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবলুসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
তবে মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের পরিচয় ও জীবনের অনেক তথ্য এখনো অজানা রয়ে গেছে। স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ শেখ শহিদুল্লাহ জানান, তিনি মূলত সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার বাসিন্দা হতে পারেন। জীবদ্দশায় তাঁর বিভিন্ন সময়ে দেওয়া নথিপত্রে যশোরের চুড়ামনকাঠি, ঝিকরগাছা, রাজারহাট, শার্শার উলাশী, ছোটআঁচড়া ও ভবেরবেড় গ্রাম-এমন নানা ঠিকানার উল্লেখ পাওয়া গেছে। সম্ভবতঃ তিনি এসকল স্থানে গিয়ে একেকটি বিবাহ-শেষ পর্যন্ত বহুবিবাহ করেছিলেন এবং অনেক সন্তান রয়েছে বলে জানা যায়।
শার্শা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফফর আলী জানান, আবুল হোসেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য ছিলেন না। তবে মৃত্যুর পর জানা যায়, তিনি সেনাবাহিনীতে চাকরির সুবাদে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আপনার মতামত লিখুন :