
স্বপ্নভূমি ডেস্ক : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত ‘জুলাই পদযাত্রা’কে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বুধবার (১৬ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান লেখেন,
“গোপালগঞ্জ তো বাংলাদেশেরই অংশ। এনসিপির নেতারা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেই তাদের কর্মসূচি আয়োজন করেছিলেন। এটা তাদের সাংবিধানিক রাজনৈতিক অধিকার। অথচ এখন দেখা যাচ্ছে, মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো দৃশ্যমান উপস্থিতি নেই।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার যদি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এ ঘটনার ঐতিহাসিক দায় সরকারকেই নিতে হবে।”
এ সময় তিনি এলাকাবাসীকে উশৃঙ্খলতা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানান এবং শান্তিকামী, ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে এক বিবৃতিতে গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচার পতনের পর এখন দুষ্কৃতকারীরা দেশে আবারও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বর্বরোচিত হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশ সদস্যদের আহত করা এর জ্বলন্ত উদাহরণ।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী দোসররা এখন মরণকামড় দিয়ে ইন্টেরিম সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়। এদের কঠোর হাতে দমন করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।”
মির্জা ফখরুল দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঠেকাতে সব রাজনৈতিক দল ও শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তা না হলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।”
বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে গোপালগঞ্জের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একইসঙ্গে আহত পুলিশ সদস্যদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :