প্রিন্ট এর তারিখঃ Jul 17, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Jul 14, 2025 ইং
রাতভোর বৃষ্টির পানিতে আবারও বেনাপোল স্থলবন্দর পানিতে ডুবছে

বেনাপোল প্রতিনিধি: বৈরী আবহাওয়ার কারণে,রাতভোর ভারী বৃষ্টি পাতে,
আবারও বেনাপোল স্থলবন্দরের সেডের কানায় কানায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে,
ভাসছে কোটি কোটি টাকার পণ্য।
১৪
ই জুলাই সোমবার দুপুরে সরজমিনে যেয়ে দেখা যায় বেনাপোল স্থলবন্দরের ১৬
নম্বর ও ১৭ নম্বর সেড সহ বিভিন্ন স্থানে কানায় কানায় পানি উঠে গেছে। এবং
খোলা আকাশের নিচে কোটি টাকার পণ্য পানিতে ভাসছে।
এদিকে
পানি নিষ্কাশনের জন্য ছয় সদস্যবিশিষ্ট গঠন করা হয়, তাতেও কোন সমাধান
আসেনি, তাদের বক্তব্য জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ীভাবে পানি নিষ্কাশন সম্ভব
নয়।
বেনাপোল স্থলবন্দর
হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদ আলী জানান, একটু
বৃষ্টি হলেই বেনাপোল স্থল বন্দরের বিভিন্ন স্থানে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে
আমার সাধারণ শ্রমিকরা কাজ করতে পারছে না, সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে হাজার
হাজার কোটি টাকা।
তাই সরকারের কাছে আমার জোর দাবি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য।
সাধারণ
শ্রমিকরা বলেন, আমরা জীবন জীবিকার জন্য এই বন্দরে কাজের জন্য আসি কিন্তু
বৃষ্টির কারণে কোন কাজ করতে পারছি না, এখন আমরা সবাই অলস সময় পার করছি।
একদিন বৃষ্টি হলে তিন দিন ধরে জলবদ্ধতা থাকে।
বেনাপোল
স্থলবন্দর উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ মামুন কবীর তরফদার জানান, স্থায়ীভাবে
সমাধান করতে হলে কমপক্ষে দুই বছর সময় লাগবে,তাছাড়া সম্ভব নয়। তাই যার
যার প্রতিষ্ঠান থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিবেন যেমন রেলওয়ে তাদের
নিজস্ব তদরুকিতে পানি নিষ্কাশন করবে, সাথে কাস্টমস তারাও তাদের মত পানি
নিষ্কাশন করবে। এবং স্থায়ী কোনো প্রকল্প না হলে এই পানি নিষ্কাশনের সঠিক
সমাধান হওয়া সম্ভব নয়।
এছাড়াও,
গত ৯ জুলাই ২০২৫ তারিখে বেনাপোল পৌরসভা, কাস্টম হাউস ও বন্দর এলাকায়
জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে একটি ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই
কমিটির সভাপতি হচ্ছেন বেনাপোল পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। সদস্য
হিসেবে রয়েছেন কাস্টম হাউস, স্থলবন্দর, রেলওয়ে এবং স্থানীয় গণ্যমান্য একজন
ব্যক্তি ও নির্বাহী প্রকৌশলী।
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ স্বপ্নভূমি নিউজ