প্রিন্ট এর তারিখঃ Jul 12, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Jul 10, 2025 ইং
কেশবপুরে জলাবদ্ধতা ঠেকাতে কাটা হলো বাঁধ

কেশবপুর প্রতিনিধি : টানা বৃষ্টির কারণে যশোরের কেশবপুর পৌরসভা ও সদর ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা শুরু হওয়ায় আপার ভদ্রা নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া ক্রস বাঁধ (ক্লোজার) কেটে দেওয়া হয়েছে। ২০ দিন আগেই ওই বাঁধ বৃহস্পতিবার দুপুরে কেটে দেওয়ায় জলাবদ্ধতার পানি নেমে যাওয়ার আশা করছেন এলাকার মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড নদ-নদীতে পলি ঠেকাতে আপার ভদ্রা নদীর মুখে গত ফেব্রæয়ারি মাসে ক্রস বাঁধ নির্মাণ করেন। যা ৩১ জুলাই অপসারণ করার কথা ছিল।
জানা গেছে, আশির দশকের পর থেকে জোয়ারের সময় হরি নদীর পলিযুক্ত পানি ঢুকে কেশবপুরের হরিহর নদ, বুড়িভদ্রা ও আপার ভদ্রা নদী পলি জমে উঁচু হতে থাকে। এতে নদীগুলো হারাতে থাকে নাব্যতা। পলি জমে নদীর তলদেশ থেকে বিল নিচু হয়ে যাওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে সুষ্ঠুভাবে পানি নিষ্কাশিত হতে না পেরে কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা শুরু হয়। এর ফলে মানুষের ফসলহানির পাশাপাশি বাড়িঘরে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি হয়। পলিযুক্ত পানি ঢোকা ঠেকাতে ও এ সমস্যা নিরসনে কেশবপুরের গৌরীঘোনা ইউনিয়নের কাশিমপুরে আপার ভদ্রা নদীর মুখে পানি উন্নয়ন বোর্ড সাময়িক ক্রস বাঁধ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে থাকে। যা প্রতিবছর জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ওই স্থানে ক্রস বাঁধ দেওয়া হয় এবং জুলাইয়ের শেষের দিকে তা অপসারণ করার প্রকল্প নেওয়া হয়। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত জোয়ারের পানিতে পলি ঢোকার কারণে নদী রক্ষায় প্রকল্পটি চলমান রয়েছে। এ বছর ফেব্রæয়ারি মাসে ওই স্থানে ক্রস বাঁধ দেওয়া হয়েছিল, যা ৩১ জুলাই অপসারণ করার কথা ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও হরিহর নদের পানি ঢুকে এলাকা প্লাবিত হতে থাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্দিষ্ট সময়ের ২০ দিন আগেই জলাবদ্ধ পানি নামানোর জন্য ওই ক্রস বাঁধ কেটে দিয়েছেন।
কেশবপুরে টানা বৃষ্টি ও হরিহর নদের পানি ঢুকে পৌরসভা ও সদর ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আমন ধানের বীজতলাসহ ৩১ হেক্টর ফসল। এ ছাড়া পৌরসভার খোঁজাখালি খালের ¯øুইস গেটের একটি ভাঙা কপাট দিয়ে উজানে পানি ঢুকতে থাকায় বুধবার সরেজমিন পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে ওই স্থানে জিও ব্যাগ দিয়ে পানি ঢোকা বন্ধ করে দিতে বলেন। বৃহ¯পতিবার ওই ভাঙা কপাটে জিও ব্যাগ ফেলে উজানে পানি ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলা বলেন, স¤প্রতি টানা বৃষ্টিতে সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বৃহ¯পতিবার আপার ভদ্রা নদীর মুখের ক্রস বাঁধ কেটে দেওয়ায় জলাবদ্ধতার পানি নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন শিকদার বলেন, গত ফেব্রæয়ারি মাসে আপার ভদ্রা নদীর মুখে ক্রস বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল, যা ৩১ জুলাই অপসারণ করার কথা ছিল। কিন্তু জলাবদ্ধতার পানি নামানোর জন্য ওই ক্রস বাঁধ নির্দিষ্ট সময়ের ২০ দিন আগেই কেটে দেওয়া হয়েছে। স¤প্রতি কেশবপুরে ৪৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ায় কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। #
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ স্বপ্নভূমি নিউজ