প্রিন্ট এর তারিখঃ Dec 7, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ 05 December 2025, 12:21 ইং
বেনাপোল দিয়ে বন্ধ হলো ভারত থেকে চাল আমদানি

মাসুদুর রহমান শেখ, শার্শা:
সরকার ঘোষিত সময়সীমা শেষ হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। ৩০ নভেম্বর ছিল চাল আমদানির শেষ দিন। গত চার মাসে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বেনাপোল বন্দরে মোট ১৮ হাজার ১১ টন চাল আমদানি হয়েছে। দেশে চালের অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার সব বন্দর দিয়ে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এর অংশ হিসেবে চার মাস বন্ধ থাকার পর গত ২১ আগস্ট বেনাপোল দিয়ে পুনরায় চাল আমদানি শুরু হয়। আগস্টে ১ হাজার ২৬০ টন, সেপ্টেম্বরে ৫ হাজার ৪৩৫ টন, অক্টোবরে ৫ হাজার ১৮৮ টন এবং নভেম্বর মাসে ৬ হাজার ১২৮ টন চাল আমদানি হয়। এসব চালের খালাস কার্যক্রম বন্দরের ৩১ নম্বর শেডে চার-পাঁচটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সম্পন্ন করে।
বেনাপোল বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা স্বপন জানান, ভারত থেকে চাল আসার পর বাজারে সব ধরনের চালের দাম ৩ থেকে ৪ টাকা কমেছে। নতুন ধানের সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমবে বলে তিনি মনে করেন।
শার্শা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে আমদানি করা ভারতীয় স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ৪৮-৫০ টাকা এবং শম্পা জাতের চাল ৬৬-৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় নতুন স্বর্ণা জাতের চাল পাওয়া যাচ্ছে ৪৭-৪৮ টাকায়। এখনো পুরোপুরি আমন ধানের চাল বাজারে না আসায় সরবরাহ সীমিত রয়েছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধি জসিম উদ্দীন বলেন, “চাল আমদানি শুরুর পর থেকেই আমরা ছাড়ের কাজ করছি। যে পরিমাণ চাল এসেছে, তার বেশিরভাগই ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ছাড় করা হয়েছে।
বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস জানান, আগস্টে আমদানির শুরুতে চালের চালান বেশি এলেও পরে কমে যায়; তবে সময়সীমার শেষ দিকে আমদানি আবার বাড়ে। দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে চাল আমদানি হওয়ায় বাজার স্থিতিশীল রয়েছে বলে তিনি জানান।
সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান বলেন, চলতি বছরের ১৫ এপ্রিলের পর দীর্ঘ বিরতির পরে ২১ আগস্ট থেকে চাল আমদানি শুরু হয়। ১০০ দিনের মধ্যে ৫৫ দিনে মোট ১৮ হাজার ১১ টন চাল এসেছে। এখন কৃষকেরা আমন ধান কাটছেন-এ ধান বাজারে উঠলে চালের ঘাটতি কমে যাবে এবং দামও কমবে।
বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, ৩ মাস ১০ দিনে ভারত থেকে ১৫৫টি চালানে ৫৮০টি ট্রাকে করে ১৮ হাজার ১১ টন চাল এসেছে। ৩০ নভেম্বর শেষদিনেই ৬ হাজার ১২৮ টন চাল আমদানি হয়। নতুন করে সময় বাড়ানো হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা নেই।
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ স্বপ্নভূমি নিউজ