স্বপ্নভূমি ডেস্ক : অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) ক্যাপ্টেন ও তার থেকে উচ্চ পদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরও সাড়ে তিন মাস বৃদ্ধি করেছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আগামী ১২ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর আগে সর্বশেষ গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দুই মাসের জন্য এই বিশেষ ক্ষমতা সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছিল, যার মেয়াদ ১১ নভেম্বর শেষ হচ্ছে।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে, সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তারা ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ (Code of Criminal Procedure, 1898)-এর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারার অধীনে অপরাধসমূহ আমলে নিয়ে সারা বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগের ধারাসমূহ হলো: ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২। এই ধারাগুলো সাধারণত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জননিরাপত্তা বজায় রাখা এবং তাৎক্ষণিক বিচারিক পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিক্ষোভের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এবং ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। দেশে উদ্ভূত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছিল। এরপর থেকে এই বিশেষ ক্ষমতার মেয়াদ সরকার পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করে চলেছে।