স্বপ্নভূমি ডেস্ক : ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাতে সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে পড়া তাদের যোদ্ধাদের আত্মসমর্পণের শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। গত মাসে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতির সময় এই যোদ্ধারা রাফার ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে আটকা পড়েন, যে অঞ্চল বর্তমানে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

গতকাল (শনিবার) হামাস ২০১৪ সালের গাজা যুদ্ধে নিহত ইসরায়েলি সেনা লেফটেনেন্ট হাদার গোল্ডিনের মরদেহ খুঁজে বের করার পর নতুন করে এই সংকট তৈরি হয়। ইসরায়েলি সেনাপ্রধান ইয়াল জামির জানিয়েছিলেন, যদি গোল্ডিনের মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়, তবে রাফাতে আটকে থাকা হামাস যোদ্ধাদের নিরাপদ প্রস্থান দেবে ইসরায়েল।

তবে ইসরায়েল এর বিনিময়ে শর্ত দেয় যে, আটকে থাকা হামাস যোদ্ধাদের প্রথমে ইসরায়েলের কাছে আত্মসমর্পণ এবং অস্ত্র জমা দিতে হবে। এরপর ইসরায়েল তাদের কথিত সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করবে।

ইসরায়েলের এই শর্তের জেরে হামাসের সামরিক শাখা ইজ আল-দ্বীন আল-কাশেম ব্রিগেড আজ (রোববার, ৯ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে কঠোর অবস্থান জানিয়েছে। বিবৃতিতে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে:

আল-কাশেম ব্রিগেড স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা কোনোভাবেই আত্মসমর্পণ করবে না। একইসঙ্গে তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এসব যোদ্ধার সঙ্গে যদি ইসরায়েলি সেনাদের কোনো ধরনের সংঘর্ষ হয়, তাহলে এর দায় সম্পূর্ণভাবে দখলদারদের নিতে হবে।

আজ স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় লেফটেনেন্ট হাদার গোল্ডিনের মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করবে হামাস। এই হস্তান্তরের পরই জানা যাবে, আত্মসমর্পণের শর্ত প্রত্যাখ্যানের পর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা হামাস যোদ্ধাদের ভাগ্য কী হবে। যুদ্ধবিরতি বজায় থাকবে, নাকি রাফার ভূগর্ভে নতুন করে সংঘাত শুরু হবে, তা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তৈরি হয়েছে চরম উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা।