সিলেটে ব্লক রেইড দিয়ে বাসদ অফিস থেকে ২২ জন শ্রমিক নেতা কর্মীকে এবং সিপিবি নেতা এডভোকেট আনোয়ার হোসেন  সুমনসহ মোট ৩৭ জন নেতাকর্মীর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে যশোরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকালে প্রেস ক্লাব যশোরের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট এই কর্মসূচির আয়োজন করে। মানববন্ধনে 

বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, '২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানে শ্রমজীবী মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। শুধু ছিল বললে ভুল হবে তারাও রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে। শ্রমজীবীদের রক্তের উপর ভর করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শ্রমজীবীদের পেটে লাথি মারছে। ব্যাটারি চালিত রিক্সা বন্ধের নামে বামপন্থী নেতাকর্মীদের আটক করছে। ঢাবিতে হকার উচ্ছেদ করছে। ৭ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছে ১৪ মাসে। নতুন করে বিভিন্ন শিল্প কারখান বন্ধের পথে হাটছে। দেশের বন্দর, কৃষি মার্কিনীদের হাতে তুলে দিতে ব্যস্ত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কিনা সংশয় রয়েছে। ব্যক্তি, সংগঠন অপসারণ করলেই শ্রমজীবী মানুষের মুক্তি হয় না। ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে না পারলে সাধারণ মানুষের মুক্তি হবে না। মানববন্ধন থেকে বক্তারা সিলেটে আটককৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান।

বাম গণতান্ত্রিক জোট যশোর জেলার সমন্বয়ক হাসিনুর রহমানের সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন 

বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের যশোর জেলা সম্পাদক তসলিম উর রহমান, সিপিবি যশোর জেলা কমিটির সভাপতি  মাহবুবুর রহমান মজনু, বামনেতা জিল্লুর রহমান ভিটু,  বাসাদ নেতা আলাউদ্দিন, রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আব্দুল জলিল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের সাবেক আহ্বায়ক রাশেদ খান  প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিটিলটি প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বের হয়ে চৌরাস্তায় যেয়ে শেষ হয়।