যশোরের অভয়নগরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কলাপসিবল গেট ও সাটারের তালা ভেঙে একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ভোল্ট ভেঙে প্রায় চার লাখ টাকার স্বর্ণ ও রূপাসহ এক নারীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায় ডাকাত দল। সোমবার (৩ নভেম্বর) ভোর ৪ টার দিকে উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের মশিয়াহাটী বাজারে সৌখিন জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে অভয়নগর থানা পুলিশ ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

ক্ষতিগ্রস্ত সৌখিন জুয়েলার্সের মালিক গোবিন্দ কর্মকার বলেন, ‘রবিবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাই। সোমবার ভোর ৪ টার দিকে প্রতিবেশী সেলুন দোকানি জয় রায় ফোন করে ডাকাতের আক্রমণের খবর জানায়। এসে দেখি প্রায় ২ ভোরি স্বর্ণ ও ২৪ ভোরি রূপা ডাকাতি হয়েছে। দোকানের ভেতরে মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। ক্ষতির পরিমান প্রায় চার লাখ টাকা।’

গোবিন্দ কর্মকার আরো বলেন, ডাকাতের আক্রমণের খবর জানতে পেরে মশিয়াহাটী বাজার সংলগ্ন বাসিন্দারা এগিয়ে গেলে তাদেরকে বেঁধে রাখা হয়। বেঁধে রাখা ব্যক্তিরা হলেন, বিকাশ বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী প্রতিমা বিশ্বাস, অমর বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী বৈশাখী বিশ্বাস, তৌশিক দাস, অনিমেষ বিশ্বাস ও পরিমল বিশ্বাস। এসময় প্রতিমা বিশ্বাসকে মারপিট করে তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইনটিও নিয়ে যায় তারা।’

মশিয়াহাটী বাজার কমিটির সভাপতি মিহির মন্ডল বলেন, ‘ডাকাতির ঘটনার পর থেকে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। যে কারণে বিকালে জরুরী সভার আহবান করা হয়েছে।’

যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত স্বর্ণের দোকানি ও বেঁধে রাখা নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা হয়েছে। হাত ও মুখ বাধা অবস্থায় এলাকাবাসী সকালে তাদেরকে উদ্ধার করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রæত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।’ 

এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম রবিউল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিককে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন।’