নিজস্ব প্রতিবেদক : ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে চৌগাছা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিইও) মোস্তাফিজুর রহমান তার এলাকার এক সহকারী শিক্ষককে মারপিট করিয়েছেন। এ ঘটনায় চৌগাছার কুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষক সোহেল আক্তার থানায় অভিযোগে দিলেও এখনো মামলা হয়নি। সোমবার প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সহকারী শিক্ষক সোহেল আক্তার। 

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানিয়েছেন, চৌগাছা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে একজন নারী সহকারী শিক্ষীকার অনৈতিক সম্পর্কের ঘটনা উল্লেক করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে কে বা কারা অভিযোগ দিয়েছিল। এ অভিযোগের নিচেয় আমার নাম লেখা ছিল। এ ঘটনার বিষয়য়ে তদন্তে আসলে বিষয়টি আমি অবগত হই। তদন্ত কমিটির কাছে এ অভিযোগ আমার দেয়া নয় বলে জানিয়ে দেয়া হয়। একই সাথে অভিযোগে আমার না লেখা থাকায় আসামি তদন্তকমিটির কাছে আবেদন করে অভিযোগটি তাৎক্ষনিক প্রত্যাহার করেনি। 

তিনি বলেন, এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও ওই শিক্ষীকার আত্মীয় পরিচয়দানকারী সাংবাদিক আজিজ আমাকে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে আসছিল। গত ১৮ আগস্ট দুপুরে উপজেলা পরিষদের পাশের একটি কম্পিউটারের দোকানের সামনে পেয়ে কয়েকজন অপরিচিত লোক আমাকে বেদম মারপিট করে। আমি তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারের রুমে ঢুকে পড়ি। সেখানে অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এরমধ্যে সাংবাদিক আজিজুর রহমান রুমে ঢুকে আমাকে লাথি ও চড় মারে। সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাসহ কেউ তাকে বাধা দেয়নি। 

তিনি আরও বলেন, আমি চিকিৎসা শেষে শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে ঘটনার সিসি টিভি ফুটেজ চাইলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়ায় হামলার মদদ দাতা শিক্ষা অফিসার এখন আমাকে দেখে য়োর হুমকি দিচ্ছেন। এ ঘটনায় থানায় দেয়া অভিযোগটি তিনি দ্রুত এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে হামলাকারীদের আটকের দাবি জানিয়েছেন।